মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু কুষ্টিয়া আইলচারা ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা কলম জোয়ার্দার এর খুটির জোর কোথায় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে আট ঘন্টার ব্যবধানে নিহত -৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) শাহাদাত বরণ করেছেন হাটশহরিপুর ফরাজিপাড়ায় বসতবাড়িতে লুটপাট’ থানায় অভিযোগ জনি হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় একটি সেতুর অভাবে দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

Reporter Name / ৫১৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:-

একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কুষ্টিয়া পৌরসভা ১৬ নং ওয়ার্ড ও ১৮ নং ওয়ার্ডের ২ গ্রামের বিশ হাজার মানুষ। কোনো মতে বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দফতরের অফিসে ধর্না দিয়েও কোনো সুফল পাননি ভুক্তভোগীরা। বাড়াদী মরা গড়াই পশ্চিম মজমপুর বাড়াদী বাঁশের সেতুটি দিয়ে দুটি গ্রামের বিশ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।
বাঁশের সেতুটির পশ্চিম পাশের বাড়াদী গ্রামের অন্তত ১৫টি মহল্লার মানুষকে নিত্যদিন কৃষিপণ্য বিপণন, চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে হয় পূর্ব দিকের পশ্চিম মজমপুর ১৫টি মহল্লার মানুষকে নানা কাজে যাতায়াত করতে হয় মরা খালের অপর দিকের মহালয়াতে। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রাই বাঁশ ও খুঁটি দিয়ে বাঁশের সেতু তৈরি করে কোনো রকমে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও নজরে পড়েনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। ফলে দুটি গ্রামের মানুষের সেতুবন্ধন অধরাই রয়ে গেছে। বাড়াদী গ্রামের স্কুলছাত্রী-ছাত্র সাদিয়া, সুলাইমান ও সাব্বির জানায়,গত বছর ভারি বর্ষণে বাঁশের সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। তখন আমাদের কষ্টের সীমা ছিলো না। আমাদের এই এলাকার শতাধিক ছাত্র ছাত্রী উদিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওই বাঁশের সেতু পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। পশ্চিম মজমপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন জানান, পৌরসভার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এলাকার মানুষের প্রচেষ্টায় নিজেরাই বাঁশ সংগ্রহ করে বাঁশের সেতুটি তৈরি করেছি। ঠিকমত সংস্কার না হওয়ায় দীর্ঘ বাঁশের সেতুটি এখন দুর্বল কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে। অতি প্রয়োজনের সময় ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হয়। যেকোনো সময় বাঁশের সেতুটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর। স্থানীয় কৃষক বাবুল হোসেন ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন ও খলিল হোসেন জানান,বর্ষার সময় বাঁশের সেতুটি ডুবে গেলে অনেক দূরের রাস্তা মঙ্গলবাড়িয়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তাতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়ে কৃষক, ব্যবসায়ী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই দুই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সেতু নির্মাণের। সেতুটি নির্মিত হলে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনেতিক উন্নয়ন ও বিশ হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে জানান স্থানীয়রা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর