ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া জেলার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়ায় কঠোর লকডাউন চতুর্থ দিনেও থেমে নেই সংক্রামক ও মৃত্যু। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১দশমিক ৬৮ শতাংশ। আজ রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রেকর্ডসংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালে আজ সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন ৩৪১ জন। তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ২৭৩জন। বাকি ৬৮ জন ব্যক্তি উপসর্গ আছে। আজ পর্যন্ত জেলায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪৭৫ জনের। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কুষ্টিয়া দৌলতপুরে উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪৫ জন, সদর উপজেলায় ৩৬ জন, কুমারখালীতে ৩১ ,ভেড়ামারায় ২৭,মিরপুরে ২৩ ও খোকসায় ৩১জন সনাক্ত হয়। যা এ যাবৎ খোকসায় ১ দিনে সর্বোচ্চ সনাক্ত আছেন।
এ ছাড়া বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগী রয়েছেন ২ হাজার ৪৯৩ জন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে ২৬৫ জন ।রবিবার সকালের তথ্য মতে হাসপাতালে আইসোলেশনে ৩৪১ জন ।হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২২৮ জন।অদ্যাবিধি জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪৭৫ জন।সুস্থ রুগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৬৮৯ জন।কোভিড পরিক্ষা হয়েছে এমন ব্যক্তির ল্যাম্পলের রিপোর্ট অপেক্ষমাণ রয়েছে ২ হাজার ৫৫৩ জনের ।জুলাই মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় নতুন করে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে ৪ শত ২৫ জন। এ দিকে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ১ জুলাই সকাল ৬টা হতে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের চতুর্থ দিনে কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও শহরের চেকপোস্টে কঠোরভাবে পুলিশী নজরদারী থাকায় আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কুষ্টিয়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্ট গুলো পরিদর্শন কালে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেছেন, সারাদেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরার বিকল্প নেই। সবাই সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরুন। অকারনে বাইরে ঘোরাফেরা না করে সবাই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে মহামারি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যান। ঘরে থাকুন নিজে নিরাপদ থাকুন এবং আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখুন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে ৭ টি চেকপোস্ট ছাড়াও শহরের মোল্লাতেঘরিয়া, দবীর মোল্লার গেট, মিলপাড়া রেলক্রসিং, সিঙ্গার মোড়, বঙ্গবন্ধু মার্কেট, জেলখানা মোড়, হাউজিং নিশানমোড়, মজমপুর রেলগেট, মঙ্গলবাড়ীয়া বাজার, ত্রিমোহনী, থানা মোড়, বড় বাজার রেলগেট, চৌরহাস মোড়, ছয় রাস্তার মোড়, হরিপুর ব্রীজ, কাস্টম মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকার কর্তৃক আরোপিত লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চেক পোস্টগুলিতে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তদারকী করছেন পু্লিশ খাইরুল আলম। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। চলমান পরিস্থিতিতে কেউ বিধি-নিষেধ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে পুলিশ সুপার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ৩ জুলাই ডিসি অফিস তথ্য মতে, ৯টি মোবাইল কোট পরিচালিত হয় এবং ৬৩ হাজার ৪ শত টাকা আদায় করা হয়।