ডন ডেস্ক:-
বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুশিল সমাজ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আলামপুর বালিয়াপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে তা আড়াল করতে নিজেকে ভিন্নভাবে সোস্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঐ ছাত্রী কলেজে উপস্থিত হলে তাকে অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক অফিসে ডেকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরই এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রী কান্না বিজড়ীত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার পরিবার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, কুষ্টিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট ২০২১ সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটা থেকে ১১ টার মধ্যে আলামপুর বালিয়াপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষ তার নিজ অফিসরুমে ডেকে নিয়ে মেয়েটির উপবৃত্তির বিষয় নিয়ে ধমক দিতে থাকে। পরে তার বাবার নাম, বাড়ি কোথায়, বাবা কি করে ইত্যাদি প্রশ্ন করতে থাকে এবং অধ্যক্ষ মেয়েটিকে বলেন, তোর উপবৃত্তি সহ লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ আমি বহন করবো কিন্তু বিনিময়ে তোকে যেখানে যেভাবে বলবো তোকে যেতে হবে এবং আমার কথা মত চলতে হবে এসময় অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক মেয়েটির শারীরিক মাসিক সম্পর্কে ও জানতে চান। পরে মেয়েটির হাতে জোর পূর্বক দুইশ টাকা ও তার ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলে দুই একদিনের মধ্যেই আমার সাথে যোগাযোগ করবি। পরে মেয়েটি ভয় পেয়ে কৌশলে কলেজ থেকে বের হয়ে এসে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মাকে জানালে পরিবারের সিদ্ধান্তে কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ই-শাখাতে, জেলা শিক্ষা অফিসার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে গত ২৬ শে আগস্ট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক বিষয়টিকে ধামা চাপা দিতে ও মিমাংসা করতে বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছে বলেও জানা গেছে। এব্যাপারে অধ্যক্ষ আবু বক্করের কাছে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সংস্কার নিয়ে একটি তরুন সমাজের সাথে ঝামেলার কথা বলে মূল ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তা বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে। ভিত্তিহীন তথ্য ও নিজেদের পরিচিতদের ফেইসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই অধ্যক্ষের একাধিক স্ত্রী থাকলেও বিভিন্ন মেয়েকে কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে এবার এ বিষয়টি বিভিন্ন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার নজরেও এসেছে। তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার সাহা’র সাংবাদিকদের জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সঠিক নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমানিত হলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাইলটি কি অবস্থায় রয়েছে আমি দেখে সিদ্ধান্তের কথা আপনাদের পরবর্তিতে জানাবো।