কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:-
সম্প্রতি সারা অসম জুড়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ কারীদের দেশ থেকে খেদাতে। কিন্তু ভারতের ও বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা অসম এর দারাঙ জেলার ঢলপুরের কাছে গরুখাতিতে জোর পূর্বক স্হানীয় মুসলিম সম্প্রদায় মানুষের উপর উচ্ছেদ নাম করে তাদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে যেতে বলাতে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্হানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই বিক্ষোভ মিছিলে অসম রাইফেলের জওয়ানরা গুলি চালায় তাতে দুই জন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে আজ সারা অসম বন্ধ এর ডাক দিয়েছেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও ইউ ডি এফ আই সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং অসম জমিয়তে ওলামা হিন্দ সহ বহু ছাত্র সংগঠন। আজকের অসমের এই ঘটনা নিয়ে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শ্রী রাহুল গান্ধী বলেন যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বকর্মার সরকার অসমের মুসলিম সম্প্রদায়ের ও নিন্ম জাতি এবং উপজাতি মানুষের উপর বাংলাদেশী উচ্ছেদ নাম করে তাদের বিরুদ্ধে রাস্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি বন্ধ হওয়া দরকার। যদি না করেন তাহলে আগামী দিনে অসমের মাটিতে বৃহত্তম আন্দোলন শুরু করা হবে। আজকের অসম রাইফেলের জওয়ানদের গুলি তে যে দুই জন মানুষ মারা গেছেন তাদের কে কুড়ি লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে। এবং পরিবারের একজন কে চাকরি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন অসমের মুসলিম ছাত্র সংগঠন। তবে আজকের অসমের বিভিন্ন যায়গায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বন্ধ পালিত হচ্ছে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে অসমের কাছাড়, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, বরাক, নওগাঁ, ডিমাপুর, করিমগঞ্জ, সহ গৌহাটিতে। অসম রাইফেল মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের অসমের রাজ্য সভাপতি ও ইউ ডি আই এফ নেতা এবং লোকসভার এম পি জনাব আজমল আকমল সাহেব।