ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ায় পুলিশ সুপারের সাংবাদিক সম্মেলন
ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে উদ্ধারকৃত মিনারুল হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান গ্রেফতার!
শনিবার বেলা ০৩: ০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম পুলিশ লাইনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে উদ্ধারকৃত মিনারুল হত্যার সাথে জড়িত আসামী তুফান (২০), পিতাঃ আব্দুল মালিথা, গ্ৰাম-রামকৃষ্ণপুর, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশ। সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আরো জানান যে, পিক আপ ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যশোরের মিনারুল ইসলামকে কৌশলে ভেড়ামারায় এনে তাঁর গলায় গামছা পেচিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে আসামীরা। হত্যা করার পর তাঁর লাশ গোপন করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে রেখে আসে আসামীরা। এই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ সুপার এব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখায় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত ও ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন এটা ছিল একটি ক্ল্যুলেস মামলা। এই মামলা তদন্তে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটও বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে এসপি জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে লক্ষীকুন্ডা, পাকশীর নৌ-পুলিশ কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম মিনারুল ইসলাম (৪৩), পিতাঃ আইয়ুব আলী, মাতাঃ হালিমা বেগম, গ্রামঃ নীলগঞ্জ তাতীপাড়া, যশোর কোতয়ালী থানা পেশায় একজন পিক আপ ভ্যান চালক। তাঁর নিজ নামীয় পিক আপ রিজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো ন-১৮-১১৮৫ ইং ১০/০৮/২০২২ তারিখ সকাল ১১: ০০ টায় আসামী মোঃ তুফান হোসেন ও সঙ্গীয় একজন আসামী ভেড়ামারা থেকে ট্রেনযোগে যশোর যায়। সেখানে পার্টস কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের পিকআপটি ভাড়া নেয় তাঁরা। তাঁরা বলে তাদের একটি ট্রাকের ইঞ্জিন আছে। ১০/০৮/২২ তারিখ সন্ধ্যায় ভেড়ামারা উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১২ টার আগেই ভেড়ামাড়া উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলাহাবাসপুরে পৌঁছায়। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান থাকা অপর এক আসামীসহ তিনজন ভিকটিমের গলায় গামছা পেচিয়ে এবং মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অতঃপর পিক আপটিতে ভিকটিমের লাশ নিয়ে ১১/০৮/২২ তারিখ রাত ০১: টার সময় ভেড়ামারা থানাধীন গোলাপনগরস্থ মনি পার্কের পার্শ্বে শ্মশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর কিনারে পানিতে লাশ ফেলে পিকআপটি নিয়ে চলে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে এই তথ্য স্বীকার করে। ধৃত তুফানকে নৌ-পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এমাসের ১১ তারিখ উপরোল্লিখিত স্থান থেকে এলাকাবাসীর প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ হিসেবে মিনারুলের লাশটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ!