কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়া লাহিনী ঢালিপাড়া এলাকায় কাঠের ব্রিজ থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে পার হওয়ার সময় আকাশের নেতৃত্বে রবজেল ও আরজু মিলে গফুরের দুই ছেলে তানজিদ ইসলাম (২০) ও মিনারুল ইসলাম (২৮) কে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারই মায়ের মাথায় আঘাত করে তার মায়ের গলা থেকে আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যার বাজার মূল্য ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকার ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ :১৫ মিনিটের সময় এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল গফুরের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লাহিনী ক্যানাল পাড়া এলাকার আরজুর ছেলে (১) আকাশ (২৫), নুরুর ছেলে (২) রবজেল (৩০) ও আরজু (৪৫) পিতা অজ্ঞাত এর নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী আনোয়ার খাতুন বলেন, আমার ছোট ছেলে তানজিদ ঢালিপাড়া রেন্টুর কাঠের দোকানের সামনে থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে আকাশ আমার ছেলের পথ আটকে বলে তুই এই রাস্তা দিয়ে যেতে পারবি না। আমার ছেলে আকাশের কথা না শুনে চলে যেতে গেলে আকাশ ও রবজেল মিলে আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। আমার ছেলে গালাগালি করতে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে তারা আমার ছেলেকে মারধর করতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মারের একপর্যায়ে আমার ছেলে মাটিতে পড়ে গেলে আকাশ রড দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করে। এ সময় আমি ও আমার বড় ছেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় উক্ত ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয়ে দেখি তারা আমার ছোট ছেলেকে মারধর করছে। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে তারা আমার ও আমার বড় ছেলে হত্যার উদ্দেশ্য রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করেতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মাথায় আঘাত করে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর এলাকার স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে আজ বাসায় এসেছি।
তিনি আরো বলেন এর আগেও ২০২০ সালে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করছিলো। সেই সময়ও আমার থানাতে একটি অভিযোগ করেছিলাম।
এই নিয়ে পরপর দুইবার আমার ছেলেদেরকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে তারা। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।