ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার গৃহবধু হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের উপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘেষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- মিরপুর উপজেলার নফরকান্দি মাজিহাট গ্রামের বাসিন্দা জান আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ(৪৮), শামসুল আক্তার বাগুজার ছেলে মতিয়ার রহমান বাগুজা(৩৮) এবং আব্দুল গণি সর্দারের ছেলে সলিম সর্দার(৪৫)। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্তরা সবাই আদলতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ০৯ আগষ্ট গভীর রাতে মিরপুর উপজেলার মাঝিহাট গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী রুনা খাতুন (৩৫) প্রাকৃতিক কাজ সারতে ঘরের বাহিরে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা যোগসাজসী হয়ে রুনাকে অপহরণ করে পাশর্বর্তী মাঠে নিয়ে গিয়ে শারিরীক নির্যাতনসহ গলায় ফাঁস দিয়ে শাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশ ফেলে যায়। পরদিন সকালে সংবাদ পেলে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে মিরপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্বামী বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর মিরপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক রাজিব শিকদার ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় জড়িত অভিযোগ এসে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিরপুর থানার গৃহবধু হত্যা মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ৩ আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় চার্জশীটভুক্ত আসামী চয়েন মন্ডলকে খালাস এবং মৃত্যু হওয়ায় বিমল বাগুজাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
