মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু কুষ্টিয়া আইলচারা ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা কলম জোয়ার্দার এর খুটির জোর কোথায় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে আট ঘন্টার ব্যবধানে নিহত -৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) শাহাদাত বরণ করেছেন হাটশহরিপুর ফরাজিপাড়ায় বসতবাড়িতে লুটপাট’ থানায় অভিযোগ জনি হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

গাংনীতে স্বামী ও ননদ-শাশুড়ির অত্যাচারে প্রাণ দিলেন স্ত্রী!

Reporter Name / ৫৫০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন

ডন ডেস্ক:-

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে স্বামী ও ননদ-শাশুড়ির অত্যাচারে গ্রহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নিহত গৃহবধুর শশুর পক্ষের পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ হাড়য়িাদহ গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়ি এ ঘটনা ঘটে আত্মহত্যা কারি গৃহবধু উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সাজেদুল ইসলামের স্ত্রী আসমানি খাতুন। সাজেদুল ইসলাম ঐ গ্রামের মৃত আঃ রশীদের ছেলে। জানা যায়, সাজেদুল ইসলাম ধানখোলা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে তুললে তার স্ত্রী আসমানি খাতুন বারণ করে। তার এই বারণের কথা না শুনে স্বামী সাজেদুল আরও বেশি করে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
নিহত গৃহবধুর ছেলে তুহিন (১২) সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে তার মাকে মেরে ফেলা হয়েছে। কারণ জানতে চাইলে সে বলে আমার মা আমার আব্বাকে ধানখোলা গ্রামের একটি মেয়ের সাথে পরোকিয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে। এসব কর্মকান্ডে বাঁধা দিলে আমার বাবা মাকে সব ময় মারধর করে। এপ্রিল মাসের ৩ তারিখে বিদ্যালয় থেকে এসে দেখি আমার বাবা আমার মাকে মেরে ঘরে ফেলে রাখা হয়েছে। এসময় মা’র মুখ থেকে লালা বের হচ্ছিল। দাদিকে জানালে দাদি মর্জিনা বলে তোর মা’র কাছে আমি যায়নি। তুই দেখ। পরে আব্বা এসে মাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মা’র অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল করেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে থাকার একদিন পরে আবারও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল সেখান থেকে মাকে নিয়ে আসি। পরের দিন ১৪ এপ্রিল আমার নানি বাড়িতে মায়ের মৃত্য হয়। মৃত্যু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমার বাবা সাজেদুল ইসলাম মাকে দেখতে আসেনি। ছেলে তুহিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন আমার বাবা ও দাদি বাড়ির সকলে আমার মায়ের মৃত্যুর কারণ। কারণ আমার ফুফু টগর নানি বাড়ি এসে আমার মকে প্রহার করে গেছে অনেক সময়। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, গৃহবধু মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর