ডন ডেস্ক :-
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কলহের জেরে ভিক্ষুককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আসার পর ভিক্ষুক মারা গেছেন বলে জানা যায়। সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে কাজ করার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহত ভিক্ষুক আবুহার মল্লিক (৮০) সদকী ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের মৃত ফকির মল্লিকের ছেলে। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিহতের নাতী ছেলে শিপন মল্লিক জানান সোমবার দুপুরে আবুহার মল্লিক নিজঘরের পাশে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করছিলেন। এসময় দরবেশপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে সোহেল প্রামাণিক , মৃত আলিফার ছেলে কামাল প্রামাণিক, বাহাদুরের ছেলে রাসেল, আলতাফের ছেলে আলামিন সহ ৪/৫ জন এসে কাজ করতে নিষেধ করলে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আবুহার মল্লিককে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে মারপিট করে চলে যায় । এরপর স্বজনরা তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। এবং বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে এসে তিনি মারা যান। এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল প্রামাণিক মুঠোফোনে বলেন, জিডি সামছুদ্দিন আহমেদ কলেজিয়েট স্কুল ও আবুহার মল্লিক একই দাগের জমি ক্রয় করেন। আবুহার মল্লিক আগে ১৬ শতাংশ জমি উত্তর- দক্ষিণ দিকে লম্বা উল্লেখ করে পূর্ব দিকে জমি রেজিস্ট্রি করেন। এবং বক্রি জমি উত্তর দক্ষিণ লম্বা উল্লেখ করে পশ্চিম দিকে স্কুল রেজিস্ট্রি করে। কিন্তু আবুহার মল্লিক রাস্তার দিক থেকে এককভাবে জমি নিয়ে বাড়ি করে। এবিষয়ে কয়েকবার স্থানীয় শালিসী বৈঠক হয়। ঘটনার দিন আবুহার মল্লিক মাটি ভরাট করার সময় স্কুল কমিটির লোকজন গিয়ে বাধা দেয়। এসময় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ততক্ষণে গন্ডগোল শেষ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এলাকায় গ্রুপিং এর কারনে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে যাবার পর আবুহার মল্লিক নামে একজন মারা গেছেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।