বিশেষ প্রতিনিধি:-
কোভিড-19 করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার প্রথম সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। করোৱনাভাইরাস লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের মানুষের আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে কঠোর লকডাউনের চিন্তাভাবনা করেন। এতে বাংলাদেশ সরকার দ্বিতীয় ধাপে আরও সাত দিনের লকডাউন বৃদ্ধি করেন। লকডাউন এর আওতায় পড়েন বাংলাদেশেৱ ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ী গন এবং সাধারণ রিক্সা, ভ্যান চালক । ব্যবসা বন্ধ কিন্তু বন্ধ নেই দোকান ভাড়া ,কর্মচারী বেতন ,বিদ্যুৎ বিল, সংসার খরচ ও ঋণের কিস্তি। লকডাউনে সব বন্ধ থাকলেও ঋণের কিস্তি আদায়ে চলছে জোরদার। লকডাউনে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ সেখানে কিস্তির টাকা দিতে গিয়ে বড় বিপাকে পড়েছে ঋণগ্রহীতারা। ব্রাক প্রতিষ্ঠানেৱ কিস্তি আদায় করা মাঠকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, আমরা চাকরি করে উপরের কর্মকর্তারা নির্দেশ দিলে আমাদের কিছু করার নাই এবং বাংলাদেশ সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছেন কিন্তু কিস্তি আদায় বন্ধেৱ কোন নির্দেশনা দেন নাই । এমন অবস্থায় অসহায় মানুষের কষ্টটা আমরা উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে লকডাউনে কিস্তির টাকা বন্ধের জোরদার দাবি জানিয়েছেন আপামর জনসাধারণ।