ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের পূর্ব পাড়ায় ৫টি মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ উঠেছে, পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে মীর নাদের হোসেনের বসত বাড়ির সাথে সংযুক্ত করে চৌরঙ্গী শহীদ শেখ সদর উদ্দিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেদুজ্জামান লিটন মোল্লা (লিটন মাস্টার) দুটি পোল্ট্রি খামার নির্মাণ কাজ করছেন। এছাড়াও এই খামার থেকে ২০০ মিটার দূরে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় আরও ৩টি পোল্ট্রি খামার নির্মাণ করেছেন যে খামারে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মুরগি রয়েছে। বসতঘর ঘেষে পোল্ট্রি খামার নির্মাণ করতে নিষেধ করায় মীর নাদের ওপর চড়াও হয় লিটন মাস্টার এবং তার ভাইয়েরা। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পান্টি গ্রামের মো. রাসেদুজ্জামান লিটন মোল্লা (লিটন মাস্টার) ও মো. রুবেল হোসেন মোল্লা গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ (আবাসিক) এলাকায় ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় আড়াই হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার গন্ধে ওই এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। এই এলাকার মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন বায়ু দূষণজনিত রোগে ভুগছেন। পান্টি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে গ্রামের লোকজন ঘরের দরজা জানাল বন্ধ করে রেখেছেন। পরিবেশ আইনের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে নিবন্ধন করতে হয়। আবাসিক এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূরে বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামার গড়তে হয় কিন্তু এখানে দেখা যায় কারো একটি খামার এক ব্যক্তির ঘরের সাথে লাগানো ওপর আরও ৩টি খামার বাড়ি থেকে ১০/১২ মিটার দূরে স্থাপন করা হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ পরিবেশ আইন বহিঃভূত। মীর নাদের হোসেন বলেন, আমার ঘরের সাথে নতুন করে জোরপূর্বক ব্রয়লার মুরগির খামার করছে। খামারটি চালু হলে বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। কলেজছাত্র বুলবুল আহমেদ বলেন, খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে পোলট্রি নীতিমালা মানা হয়নি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এই ফার্ম নির্মানের সময় তারা আমাদের বলেছিলেন গরুর খামার করবো পরে দেখি ব্রয়লার মুরগি তুলেছে। এই খামারের গন্ধে আমরা টিকতে পারিনা তবুও অনেক কষ্ট করে বসবাস করছি। আমরা কিছু বলি না পরিবারের লোকজনের ক্ষতির ভয়ে।
এব্যাপারে খামার মালিক মো. রাসেদুজ্জামান লিটন মোল্লা (লিটন মাস্টার) বলেন, আমার বাড়িতে আমি খামার করেছি তাতে কি হয়েছে? পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অনুমতি নেই নাই। অনুমতি যখন লাগে তখন নেব। তিনি দাম্ভিকতার সাথে আরও বলেন, আমি ফার্ম করেছি কেউ পাড়লে বন্ধ করে দিক। আমাদের ক্ষমতা থাকলে আমি চালাবো, ক্ষমতা না থাকলে বন্ধ করে দেব।কুমারখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখনো লিখিত কোন অভিযোগ হাতে পাইনি। ভুক্ত ভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।